হাসিনার কুকর্মের দোসর জেনারেল মামুন খালেদ এখনো মুক্ত কেন??

ক্যাপ্টেন (অবঃ) মারুফ রাজু: ক্যাপ্টেন  মারুফ রাজু : লে: জেনারেল মামুন খালেদ, সিগন্যালস, 5 BMA LC (Cell – 01769002213 & 01713377777, বর্তমানে DOHS মিরপুরে বসবাসরত) এক কুখ্যাত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের চরম সুবিধাভোগী দোসর দালাল, সন্ত্রাসী, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা "র" এর NDA এজেন্ট  এবং অসংখ্য ঘুম খুন ও আয়না ঘরের কারিগর এবং দেশে ও বিদেশে কমপক্ষে ২০ হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও টাকার মালিক এর শ্বেতপত্র:

লে: জেনারেল মামুন খালেদ কে যারা খুব কাছে থেকে দেখেছেন তাদের ভাষ্যমতে:

তার ডিএনএ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা "র" এবং ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা "মুসাদ" এর এজেন্ট।
সে ছিল আওয়ামী লীগের সবচেয়ে কুখ্যাত দালাল লেসপেন্সর এবং বিএনপি জামাত হত্যাকারীদের অন্যতম একজন পরিকল্পনাকারী ও ষড়যন্ত্রকারী।

এই বাস্টার্ড তৎকালীন মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাসা থেকে উচ্ছেদ করার মূল পরিকল্পনা এবং ষড়যন্ত্রকারী। ঐদিন সে নিজের হাতে খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাসায় তৎকালীন স্টেশন কমান্ডার Brig Gen তানভীর মজূমদার ( ordnance, 4th BMA LC)  এবং Army ST Battalion এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল নজরুল এর মাধ্যমে সম্পুর্ন অন্যায়ভাবে মদের বোতল এবং পর্নোগ্রাফির বই রেখেছিল শুধুমাত্র জাতির সামনে তার চরিত্র কে হনন করার জন্য।

বিএনপি জামাত কে সাইজ করার জন্য স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে এবং তত্ত্বাবধানে জেনারেল মামুন খালেদ ইমরান এইচ সরকার কে কাজে লাগিয়ে "গণজাগরণ মঞ্চ" তৈরি করে।

স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সকল গুম খুন ও আয়না ঘড়ের মহা পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে অন্যতম সে একজন।

SSC ও HSC তে সেকেন্ড ডিভিশন পাওয়া আজীবন এজমা রোগী একজন নিম্নমানের  অফিসার তার সেনাবাহিনীর চাকুরী জীবনে কখনো পিইটি টেষ্ট এ পাস করে নাই। তার সমস্ত চাকরিজীবন কাটে শুধুমাত্র ষড়যন্ত্র এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে।

কমপক্ষে ০৬ বছর DGFI তে বিভিন্ন পদে এবং DG হিসেবে চাকুরি করে। তার আসল বাড়ি খুলনায় কিন্তু স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য সে তার বাড়ি গোপালগঞ্জ বলে চালিয়ে দিতো। চাকুরি জীবনের প্রথম থেকেই সে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার "র" এবং ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা "মোসাদ" এর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিল। সে ছিল এই দুই গোয়েন্দা সংস্থার একনিষ্ঠ এজেন্ট।সে DGFI  থাকাকালীন সেনাবাহিনী এবং রাষ্ট্রের বড় বড় পদে আসীন ব্যক্তিবর্গের গোপন টেলিফোন রেকর্ড করে ঐ সমস্ত রেকর্ড বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার নিকট তা সাপ্লাই দিতো এবং সর্বদা ঐ সকল রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিবর্গ কে ব্ল্যাকমেইল করে অবৈধভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আদায় করতো।

BDR তথা পিলখানা হত্যাকাণ্ড, হেফাজত হত্যাকাণ্ড, ২০২৪ এর ছাত্র জনতা হত্যাকান্ড সহ অসংখ্য ঘুম খুন এর সাথে তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিল।

নারী লিপ্সু এই জেনারেল সম্পূর্ণভাবে চরিত্রহীন ছিল। সেনাবাহিনীর অনেক নারী অফিসারদের কে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত ছিল। ঢাকা সেনানিবাসের লগ এরিয়া কমান্ডার থাকাকালীন তিনি 34 BMA LC এর মেজর আলতাফ,আর্টিলারী(বর্তমানে লেঃ কর্নেল, প্রয়াস এ চাকরিরত) এর  স্ত্রীকে (তৎকালীন ক্যাপ্টেন নুসরাত,Arty) ADC হিসেবে পোস্টিং করায় এবং পরবর্তীতে DG DGFI থাকা অবস্থায় তাকে পুনরায় সেখানে ADC হিসেবে পোস্টিং করে নিয়ে যায়। এই নারী অফিসারের সাথে তার অবৈধ মেলামেশার কথা পুরো সেনাবাহিনী জানতো। কিন্তু যেহেতু সে অত্যন্ত পাওয়ারফুল ছিল তাই তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

শেখ রেহানার দেবর নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেনারেল তারেক সিদ্দিকী,জেনারেল জিয়াউল আহসান (NTMC), জেনারেল আজিজ, লেঃ জেনারেল মইনুল হোসেন এবং লেঃ জেনারেল মুজিব এর সাথে তার ধহরম মহরম সম্পর্ক ছিল এবং তারা সবাই মিলে সকল গুম খুন এবং অর্থ লুটপাট সহ দেশে অর্থ পাচার ইত্যাদি বিষয়ে একসাথে কাজ করত। তাছাড়াও জেনারেল মামুন খালেদ সরাসরি যে কোনো সময় কোন প্রটোকল ছাড়াই শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শেখ রেহানের সাথে দেখা করতে যেতো।

সেনাবাহিনীর অফিসারদের আবাসন জলসিড়ি প্রজেক্ট এর দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি বালু ভরাটের নামে আসিয়ান সিটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সাথে ষড়যন্ত্র করে সেনা কর্মকর্তাদের ঘাম ঝরানো পরিশ্রমের কমপক্ষে ১১০০ কোটি টাকা লুটপাট করে, যা পরবর্তীতে সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়ার সময় তদন্ত আদালতের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়। কিন্তু তারপরও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় নাই কারণ তার সাথে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা "র" এবং শেখ হাসিনা পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তবে জলসিড়ির এই টাকা লুটপাটের ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পর তিনি গভীর রাতে এয়ারপোর্ট দিয়ে লুকিয়ে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থা এবং মিলিটারি পুলিশ তাকে এয়ারপোর্ট থেকে ধরে নিয়ে আসে।

তিনি BUP এর VC থাকাকালীন অবস্থায়  আরেক স্বৈরাচারী হাসিনার এবং " র" ও‌ মোসাদ এর এজেন্ট প্রফেসর কলিমুল্লাহকে অবৈধভাবে BUP এর Pro VC হিসেবে নিয়োগ দেয়। তার বিরুদ্ধে চাকরিতে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অসংখ্য গুম খুনের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা সম্ভব হয়নি।

এই অফিসার প্রফেশনাল গুণাবলিতে সর্বোচ্চ মেজর পদবীতে পৌঁছার কথা। কিন্তু শুধুমাত্র ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা "র" ও ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা "মোসাদ" এর প্রভাবে এবং স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ সখ্যতা থাকার কারণে তিনি লেঃ জেনারেল পর্যন্ত পৌঁছান।

দেশ ও জাতির স্বার্থে এই কুলাঙ্গার সন্ত্রাসী জেনারেল এর পাসপোর্ট সিজ করে তার বিরুদ্ধে অনতবিলম্বে তদন্তপূর্বক গ্রেফতার করে আইনের  আওতায় এনে কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী। অন্যথায় তার ষড়যন্ত্রে বর্তমান সরকার যে কোন সময় মহা বিপদে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Share this post

scroll to top