ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এডভোকেট খন্দকার মশিউর রহমান। সম্প্রতি দুদকের পক্ষ থেকে তাঁর এ নিয়োগের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি মেধা, নিষ্ঠা ও নেতৃত্বের গুণে আইন পেশায় নিজের জায়গা করে নেন।
টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলা ভেঙ্গুলা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন এডভোকেট খন্দকার মশিউর রহমান।
এডভোকেট খন্দকার মশিউর রহমান আইন পেশায় যুক্ত হওয়ার আগে ঢাকায় নটরডেম কলেজে অধায়নরত থাকাকালীন সময় থেকেই গান, কবিতা, লেখালেখি ও সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন। তার সম্পাদনায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দুইটি জনপ্রিয় পত্রিকা। স্বৈরাচার সরকারের ফ্যাসিস্ট আমলের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে রিপোর্ট ও লেখার কারনে তার সম্পাদিত BDLastUpdate.com অনলাইন পত্রিকাটি ১৩ অক্টোবর ২০২১ সালে বন্ধ করে দেয় আওয়ামী সরকার।
ডিবি হারুনের নির্দেশে ২৮ অক্টোবর ২০২৩ এর আগে বিএনপি বার্তা ২৪ ডট কম সম্পাদনার কারনে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য পরিচয়ে ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে ভয়-ভীতি ও পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি হবে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আওয়ামী সরকার তার পরিবারের সদস্যদের নানা ক্ষতি করার পরও দুর্নীতিও অনিয়ম নিয়ে তার কলম থেমে থাকেনি। জুলাই ছাত্র-শ্রমিক-পেশাজীবী-জনতার আন্দোলনে তিনি হাইকোর্ট ও মতিঝিল-মুগদা-বাসাবো-সবুজবাগ-খিলগাঁও-কমলাপুর এলাকায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করে।
বিগত সরকারের আমলে তিনি অসহায় ও মিথ্যা রাজনৈতিক মামলায় নির্যাতিতদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান করেছেন।
পিপি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর তার কর্মজীবনে নতুন মাত্রা যোগ হলো। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী।
দুদকের নতুন এই নিয়োগকে ঢাকার আইনজীবী মহল ইতিবাচকভাবে দেখছে। আইন মহলের মতে, এডভোকেট খন্দকার মশিউর রহমান সততা, পেশাদারিত্ব ও অভিজ্ঞতা দুদকের কার্যক্রমে নতুন গতি এনে দেবে।
এডভোকেট খন্দকার মশিউর রহমান বলেন, রক্তস্নাত বিপ্লবের পর নতুন বাংলাদেশে বৈষম্য ও দুর্নীতির কোনো স্থান থাকতে পারে না। রাষ্ট্রপক্ষ দুর্নীতির ব্যপারে জিরো টলারেন্সে থাকবে। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে দুর্নীতিবাজদের এতটুকু ছাড় দেওয়া হবে না ইনশাআল্লাহ।



