DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

দুবাইয়েও ঢুকতে পারলেননা মুরাদ হাসানঃকাল দেশে ফেরৎ

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন বক্তব্যের জেরে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেই ডা. মুরাদ হাসান দেশ ছাড়েন। এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে কানাডা পৌছালেও তাকে টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফিরতি ফ্লাইটে তিনি দুবাই রওনা হন। বর্তমানে ডা. মুরাদ হাসান দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনালে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

শেষখবর পাওয়া পর্যন্ত দুবাই বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগ ডা. মুরাদকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশের কোন অনুমতি দেয়নি।

বিতর্কিত এই সাংসদের কাছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোন ভিসা নেই। একইসাথে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগের পক্ষ থেকে কানাডা থেকে ফেরত পাঠানোর কারণ জানতে চাওয়া হলে তার সঠিক কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেনি ডা. মুরাদ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে মুরাদকে দুবাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ফেরত পাঠাতে পারেন বাংলাদেশে। ঠিক যেভাবে তিনি দেশ ছেড়েছিলেন, একইভাবে ফেরত পাঠানো হতে পারে তাকে।

এর আগে ৭ ডিসেম্বর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর ৯ ডিসেম্বর রাতে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে কানাডার উদ্দেশ্য তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্টে ঢাকা ত্যাগ করেন।

কানাডার বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি মুরাদকে দেশটিতে ঢুকতে দেয়নি। তাকে টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থেকে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

কানাডায় বসবাসরত মুরাদের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করলেও, কানাডার সরকারি কোন সূত্র থেকে এই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শুক্রবার দুপুর টা ৩১ মিনিটে টরন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। এসময় কানাডা ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান। দীর্ঘ সময় ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদে তাকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।

বিপুল সংখ্যক কানাডিয়ান নাগরিক কানাডায় তার প্রবেশের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন বলেও তাকে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, সাংসদ মুরাদের আমিরাতের প্রধান শহর দুবাইয়ে প্রবেশের জন্য একটি মাত্র উপায় রয়েছে। বাংলাদেশের দূতাবাস যদি দুবাই এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশনে তার ভিজিট ভিসা জন্য অনুরোধ করেন তবেই কেবল এয়ারপোর্ট পার হওয়ার অনুমতি পাবেন বিতর্কিত এই সাংসদ ।

 

 

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!