DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

নির্বাচন স্থগিত করা যাবে না, আল্লাহর রহমতে করোনা চলে যাবেঃ সিইসি নুরুল হুদা।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  দেশব্যাপী প্রানঘাতি করোনা ভাইরাস নিয়ে গভীর উদ্বেগের মধ্যেই এগিয়ে আসছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ (চসিক) বেশকিছু সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন।

এই পরিস্থিতিতে এসব নির্বাচন পেছানো যায় কিনা, এ প্রসঙ্গে সময় ঘনিয়ে আসার কারণ দেখিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, আমরা নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। আল্লাহর রহমতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দূর হয়ে যাবে।

চলতি সপ্তাহে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক বৈঠকে এসব কথা বলেন সিইসি। 

আগামী ২১ মার্চ ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩, বাগেরগাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এছাড়া ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে চসিক নির্বাচন এবং বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচন।

এদিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে বর্তমানে যে কোনো ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এর মধ্যেও চসিক ও উপ-নির্বাচনগুলো ঘিরে দেশে অনেকটা নির্বিঘ্নেই চলছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার কর্মযজ্ঞ। একদিকে করোনা, একদিকে নির্বাচন। 

এ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে কেএম নূরুল হুদা বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত আছি। আমাদের আশঙ্কা আছে, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত আছি। যেহেতু নির্বাচনে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি আছে, সুতরাং ২১ মার্চের নির্বাচন আমরা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। আল্লাহর রহমতে ঠিক হয়ে যাবে হয়তো। আগামী ২১ তারিখের নির্বাচনটা পেছাতে চাচ্ছি না। এর মধ্যেই আমাদের কাজ করতে হবে। তবে যারা নির্বাচনে কাজ করবেন তাদেরকে সতর্ক অবস্থায়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা যদি মেনে চলা হয়, তা হলে নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না।

নির্বাচন স্থগিত না করার পেছনে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা এমন একটা জাতি, যে ন্যাচারাল টলারেন্স, হাজার বছরের অভ্যাস প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকা। জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, মহামারি, কলেরা, বসন্ত, ম্যালেরিয়া, আবার মানবসৃষ্ট দুর্যোগ, যেমন- রানা প্লাজার ধসের ঘটনা, অগ্নিকাণ্ড, হলি আর্টিজানের ঘটনা, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব দুর্যোগ মোকাবিলা করেছে।

‘পৃথিবীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমরা একটা মডেল। যে কোনো ক্রাইসিসের সময় লোকজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসে। পৃথিবীর অনেক দেশেই এই স্বতঃস্ফূর্ততা নেই। এই শক্তি আমাদের আছে। এই শক্তিকে সামনে রেখেই বলবো যে, দুর্যোগ যাই আসুক মোকাবিলা করা যাবে। করোনা ভাইরাসও মোকাবিলা করা যাবে। আমরা নির্বাচনটা পেছাতে চাচ্ছি না।’

নির্বাচনের এজেন্ট প্রসঙ্গে ইসি বলেন, নির্বাচনে সময় এজেন্টরা যদি কেন্দ্রে যান, তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অনেক সময় দেখি যে, এজেন্টদের যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠছে। কিন্তু আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, তারা যাননি। তাই যারা প্রার্থী, তাদের অনুরোধ করবো, সক্ষম, দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন এজেন্ট নিয়োগ দেবেন। তারা যেন ফাঁকি না দেন। তারা যেন ভোটকেন্দ্রে যান। না গেলে তাদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পথে প্রতিবন্ধকতার শিকার হলে সেটা আমদের বলতে হবে। এজেন্ট একজন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি। কোনো অনিয়ম হলে প্রতিবাদ করবেন, আমাদের বলবেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এজেন্টদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমারা এজেন্টদের একটা প্রশিক্ষণ দেবো, যেহেতু ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে ইভিএমে ভোট হবে। সব দলের এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাদের দায়-দায়িত্ব সব বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!