DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বিএনপি থেকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের পদত্যাগ।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ হঠাৎ বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির বয়োবৃদ্ধ নেতা,  সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান।

গতকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাত পৌনে ১০টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রতিনিধির মাধ্যমে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বলে দলীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরাবর পাঠানো পদত্যাগপত্রে মোরশেদ খান বলেন, মানুষের জীবনের কোনো না কোনো সময় কঠিন একটা সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী।  আমার বিবেচনায় সে ক্ষণটি বর্তমানে উপস্থিত এবং উপযুক্তও বটে।  তাই অনেকটা দুঃখ ও বেদনাক্লান্ত হৃদয়ে পদত্যাগের এ চিঠি।

তিনি বলেন, রাজনীতির অঙ্গনে আমার পদচারণা দীর্ঘকালের। কিন্তু দেশের রাজনীতি এবং দলের অগ্রগতিতে নতুন কিছু সংযোজন করার মতো সঙ্গতি নেই। তাই ব্যক্তিগত কারণহেতু আমার উপলব্ধি সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার এখনই সময়।

বহুবিধ বিচার-বিশ্লেষণ শেষে আমি অবিলম্বে মঙ্গলবার থেকে বিএনপির রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ অবস্থায় এবং স্বাভাবিক নিয়মে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ প্রত্যাহারসহ বর্তমানে অলঙ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করছি।

চিঠিতে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমার সম্পর্কের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় অসংখ্য নেতাকর্মীর সান্নিধ্য পেয়েছি এবং উপভোগ করেছি। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রয়াত এবং অনেকেই বর্তমানে দলের হাল ধরে আছেন। প্রয়াতদের আত্মার শান্তি যেমন কামনা করি, তেমনি আপনিসহ বর্তমান সব কর্মী-কাণ্ডারীরও আমি মঙ্গলাকাঙ্ক্ষী। অতীত ও বর্তমান সব কর্মীর নিরবচ্ছিন্ন সান্নিধ্য, সখ্য, সহমর্মিতা, সহানুভূতি ও সাহায্য-সহযোগিতার কথা আমার স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকবে। দলের প্রতিনিধি হয়ে সরকারি দায়িত্ব পালন এবং দলের কর্মী হিসেবে দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিয়ে বিএনপি আমাকে বিরল সম্মানে ভূষিত করেছে।

দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত চট্টগ্রামের এ জনপ্রিয় নেতা ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালের শেষ দিকে এরশাদ সরকার পতনের সময় তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন এবং ১৯৯১ সালে নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বেগম খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামলে মোরশেদ খান বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের অনুমোদন লাভ করেন এবং এই কোম্পানী থেকে বিশাল বিত্ত বৈভবের অধিকারী হন। তবে তার বিরুদ্ধে তৃনমুল কর্মীদের সহায়তা না করার বহু অভিযোগ রয়েছে। তবে তিনি দির্ঘদিন যাবৎ বিএনপির একজন অন্যতম দাতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন। 

এম মোরশেদ খান ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পূর্ণমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিশেষ দূত ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ স্পেশাল কমিটি অন ফরেন অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!