DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

দেশবিরোধী সামরিক চুক্তির প্রতিবাদে নিউইয়র্কে ৩দিনের লাগাতার বিক্ষোভ

  

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কন্সুলেটের সামনে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও তিন দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচীর দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

ভারত বাংলাদেশের সাথে একটি ‘সামরিক সহযোগিতার চুক্তি’ করতে চায়। এ চুক্তির অর্থ হলো, ভারত বাংলাদেশে অস্ত্র সরবরাহ থেকে শুরু করে সামরিক খাতের বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করবে। চুক্তিটি করার জন্য ভারত এক প্রকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। যেন চুক্তিটি করতে না পারলে তার বিপুল ক্ষতি হয়ে যাবে। এ ক্ষতি সে পুষিয়ে উঠতে পারবে না।

চুক্তি বন্ধের দাবীতে দেশপ্রেমিক প্রবাসী বাংলাদেশীগন লাগাতার প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন। সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, আলেম-ওলামা সহ মানবাধিকার কর্মীরা বন্ধের দাবী জানিয়ে বলেছেন,  গত বছর চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের দুটি সাবমেরিন কেনার পর থেকে ‘ভারতের মাথা খারাপ হয়ে যায়,। সে অনেকটা আঁতকে ওঠে এবং কল্পনাও করতে পারেনি, বাংলাদেশ দুটি সাবমেরিন কিনতে পারে বা কেনার সামর্থ্য রাখে। সে তড়িঘড়ি করে বা অনেকটা উপযাচক হয়েই তার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিকরকে গত নভেম্বরে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সফরে পাঠায়।

সে সময় থেকেই ভারত উঠেপড়ে লাগে বাংলাদেশের সাথে একটি সামরিক সহযোগিতা চুক্তি করার জন্য। একের পর এক প্রস্তাব এবং প্রচ্ছন্ন একটা চাপ দিতে থাকে যার পরিপ্রেক্ষিতে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর পিছিয়ে যায়। বলার অপেক্ষা রাখে না, শেখ হাসিনা সময় নেন সুষ্ঠুভাবে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। কারণ এ চুক্তি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং এর সাথে দেশের স্বার্থ ও মানুষের সেন্টিমেন্ট জড়িয়ে আছে। এ ধরনের চুক্তি দেশের মানুষ যে মানবে না, তিনি তা ভালোভাবেই জানেন।

এখন ভারত চেয়ে আছে, আগামী ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের দিকে। তার ইচ্ছা, ওই সফরেই কাজটি সেরে ফেলতে। সে এতটাই ক্রেজি হয়ে উঠেছে যে, বাংলাদেশের সাথে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি এড়িয়েই নতুন এই চুক্তি করতে চাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কন্সুলেটের সামনে উই আর দি পিপলের উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসী বাংলাদেশী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসি বক্তারা এসব দাবী জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা ও বিএনপির বিশেষ দূত জনাব জাহিদ এফ সরদার সাদী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন, প্রফেসর ডক্টর শওকত আলী, বাংলাদেশ আমেরিচান প্রগ্রেসিভ ফোরাম (বাপক) এর সভাপতি অধ্যাপক নুরুল ইসলাম , বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান, সালেহ আহম্মেদ মানিক, হুমায়ুন কবির, জাহাঙ্গীর সরোআর্দি, নিরু নিরা ,মোহাম্মেদ মহিউদ্দিন ,শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মেদ কামাল উদ্দিন ,মোহাম্মেদ আলমগির, ফয়সাল আহম্মেদ মামুন, মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, আবুল খায়ের, মোহাম্মদ হাসান আলী, কামরুল ইসলাম ফরহাদ, মোহাম্মদ হারুন, ডক্টর শাফায়েত হোসাইন সাফা, আমিনুর রাসূল জামশেদ, অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম, ডাক্তার আজিজুল্লাহ, আবুল কাশেম, মাওলানা নুরুদ্দিন, আমিনুল রাসূল বকুল, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুর রহমান, মোহাম্মদ হারুন, মোহাম্মদ উত্তম প্রমুখ।

আজ বৃহস্পতিবার ৬ এপ্রিল নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কন্সুলেটের সামনে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে উই আর দি পিপলের দেয়া তিন দিনের কর্মসূচীর দ্বিতীয় দিনে দল মত নির্বিশেষে বিক্ষোভে অংশ গ্রহণ করেছে দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসী বাংলাদেশী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসিরা। এপ্রিলের ৫, ৬ এবং ৭ '২০১৭ বুধ, বৃহস্পতি এবং শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে। বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন উই আর দি পিপলের জেকব মিল্টন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!